Breaking


Thursday, March 28, 2024

March 28, 2024

কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান | কম্পিউটার কি | What Is Computer

কম্পিউটার
কম্পিউটার 

কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান | কম্পিউটার কি | What Is Computer

কম্পিউটার কী?

কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক দ্রুতগতিসম্পন্ন জটিল ইলেকট্রনিক যন্ত্র (গণকযন্ত্র) যার উৎপত্তি ইংরেজি শব্দ Compute থেকে। যা সংশ্লিষ্ট বিবিধ যন্ত্রাদির সহযোগিতায় সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং ইনফরমেশন তৈরি করে। তথ্যকে প্রয়োজন মতো কাজে লাগায়। দক্ষতার সঙ্গে এবং সঠিকভাবে কম্পিউটার পরিচালিত হলে মুহূর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় বুদ্ধিদীপ্ত ফলাফল আশা করা যায়।

কম্পিউটারের জনক কে?

ইংল্যান্ডের চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)।

কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা কী?

•সভ্যতার বিভিন্ন শাখায় কম্পিউটারের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স, ইন্টারনেট রিলে চ্যাট করার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন।

• শিল্পক্ষেত্র, ব্যাংক লেনদেন, রেল রিজার্ভেশন সিস্টেম, বিমান সেবা, টেলিফোন ইত্যাদির সহজ পরিষেবা সরল করার জন্য কম্পিউটার প্রয়োজন।

• পড়াশোনা, মনোরঞ্জন ইত্যাদির ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটার প্রয়োজন।

• বিভিন্ন ধরনের কারিগরি ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা, ব্যবসা পরিচালনা, বিনোদন, অর্থনৈতিক ও পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কাজে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

কম্পিউটারের পাঁচটি প্রজন্মের কারিগরি বৈশিষ্ট্য:

(১) প্রথম প্রজন্ম (১৯৪৬-১৯৫৯) ভ্যাকুয়াম টিউব।

(২) দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫) ট্রানজিস্টার নির্ভর।

(৩) তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১) ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের উপর ভিত্তি রাখে।

(৪) চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-২০১০) ভেরি লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট নির্ভর। এতে মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহৃত হয়।

(৫) পঞ্চম প্রজন্ম (২০১০- ভবিষ্যৎ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর। কম্পিউটার সরগরিত, স্মৃতিভান্ডার, বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে চলেছে তার প্রতিটি নতুন প্রজন্মে।

বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটার:

১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিদ্যুৎচালিত কম্পিউটার তৈরি হয়। আজ পর্যন্ত কম্পিউটার প্রযুক্তির বিকাশকে পাঁচটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

১। প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার : ভ্যাকুয়াম টিউব হল প্রথম প্রজন্ম কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। EDSAC, EDVAC, Mark-1, ENIAC হল প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল-(ক) শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, (খ) আকারে বড় হয়, (গ) সহজে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যাওয়া যায় না।

২। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার : ট্রানজিস্টার হল দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। IBM-1400, CDC-600, HONEY WELL-400 ইত্যাদি দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার। এর বৈশিষ্ট্য হল-(ক) প্রথম প্রজন্মের তুলনায় আকারে ছোট, (খ) একস্থান থেকে অন্যস্থানে সহজে নিয়ে যাওয়া যায় না, (গ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ছিল ব্যয়সাপেক্ষ। 

৩। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার: ইনটিগ্রেটেড সার্কিট (IC) বা চিপ এবং লার্জ ইনটিগ্রেশান হল এই কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল- (ক) অতি দ্রুত তথ্যবিন্যাসের কাজ করতে পারে, (খ) এটি আকারে বেশ ছোট, গ) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে নিয়ে যাওয়া যায় না, (ঘ) এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের খরচ ছিল তুলনামূলক কম। UNIVAC-9000, IBM-360 হল তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার।

৪। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার: মাইক্রো প্রসেসর বা ভেরি লার্জ স্কেল ইনটিগ্রেশন হল এই কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামো। এই কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য হল-(ক) তথ্যবিন্যাসের কাজ অতি দ্রুতগতিতে করতে পারে। (খ) এর উৎপাদন ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম। (গ) আকারে খুবই ছোট এবং এর স্মৃতিভান্ডার বেশ বড়। IBM PC, Pentium PC, Apple Computer হল চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার

৫। পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার: আলট্রা লার্গ স্কেল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, যন্ত্রাংশগুলো আকারে ছোট, নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। শীততাপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। বর্তমানের আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর কম্পিউটার। যার মাধ্যমে মানুষের মত বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট, চালকহীন গাড়ি চালানো ইত্যাদি কাজ করা হচ্ছে।

ইন্টারন্যাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো কী কী?

হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো হল-

র‍্যাম (Random Access Memory বা, RAM) হার্ড ডিক্স ড্রাইভ (Hard Disk Drive বা, HDD) ফ্লপি ডিক্স ড্রাইভ (Floppy Disk Drive বাঁ, FDD) সি ডি রম ড্রাইভ (Computer Diskette Read Only Memory বা, CDROM) সিপিইউ (Central Processing Unit বা, CPU), মাদার বোর্ড (Mother Board) .

এক্সটারনাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো কী কী?

এক্সটারনাল হার্ডওয়ার ডিভাইসগুলো হল-

প্রিন্টার, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন, ডিজিট্যাল ক্যামেরা, ওয়েবক্যাম, স্পীকার, ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (পেন ড্রাইভ), ডি ডি ডি (Digital Versatile Disc), এক্সটারনাল হার্ড ডিস্ক, সি ডি ইত্যাদি।

কম্পিউটারের গঠন:

বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী একক নিয়ে হার্ডওয়্যার গঠিত হয় এবং হার্ডওয়্যারগুলিকে একত্রিত করে পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার গঠিত হয়।

অনুপ্রবেশ অংশ (Input Unit), সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) এবং নির্গমণ অংশ (Output Device) হল কম্পিউটারের মূল তিনটি অংশ।

সিপিইউ CPU (Processor) কী?

সি পি ইউ-এর পুরো কথাটি হল Central Processing Unit। এটি একটি জটিলতম যন্ত্রাংশ যা মুহূর্তের মধ্যে গণনা থেকে আরম্ভ করে যেকোনো নির্দেশ সম্পন্ন করে ফেলে নির্ভুল এবং নিপুণভাবে। এ যেন অনেকটা মানুষের মস্তিষ্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইনট্রেট্ল (Intel) কর্পোরেশন সি পি ইউ তৈরিতে জগৎ বিখ্যাত। একে 'মাইক্রো প্রসেসর'ও বলে।

সি পি ইউ-এর শক্তি নির্ধারণ হয় ক্লক্ স্পিড বা কম্পাঙ্কে। আধুনিক P-III 933 MHz থেকে P-IV 1.6 GHz বাজারে পাওয়া যায়। এখানে P-III মানে হল Pentium-III (প্রসেসর এর নাম)। 933 MHZ মানে 933×1000000 অর্থাৎ প্রায় সেকেন্ডে একশো কোটি গণনা করতে সক্ষম। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা শক্তিশালী এই সি পি ইউ। কে বলতে পারে আর কিছুদিন পরেই এইগুলো বাজারে আর পাওয়া যাবে না। এখন আরও শক্তিশালী সি পি ইউ এসে গেছে যেমন P4 1.6 GHz, এটি এক সেকেণ্ডে হাজার কোটি গণনা করতে সক্ষম। এখানে GHz হল গিগাহার্টজ। MHz হল মেগাহার্টজ। 1 MHz দশ লক্ষ হার্টজ। 1 GHz হল একশ কোটি হার্টজ।

কয়েকটি প্রোগ্রামিং ভাষা হল: 

25টিরও বেশি উচ্চতর প্রোগ্রামিং ভাষা আছে। এদের মধ্যে কয়েকটি প্রচলিত প্রোগ্রামিং ভাষা হল-FORTRAN, BASIC, LOGO, COBAL, PYTHON. এছাড়াও PASCAL, VB, C++, DBMS হল আধুনিক প্রোগ্রামিং ভাষার দৃষ্টান্ত। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম ভাষা FORTRAN (FORmula TRANslation)। এটি 1954 সালে জন বাকাসের নেতৃত্বে IBM কোম্পানী তৈরি করে এবং 1956 সালে প্রথম বাজারে আসে।

র‍্যাম (RAM) কী?

র‍্যামের পুরো কথা হল Random Access Memory। একে মেন মেমরি বলে। কাজের গতি বাড়ানোর জন্য এর দরকার হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে এর স্মৃতিকোষে যা ছিল মুছে যায়। সাধারণত এখন 64 MB/128 MB/256 MB. 2-4 GB RAM ইত্যাদি পাওয়া যায়।

আশাকরি উপরের দেওয়া কম্পিউটার বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান তথ্যটি পড়ে নিয়েছো।পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

Tuesday, March 26, 2024

March 26, 2024

ভারতে সুফি ও ভক্তিবাদী আন্দোলন| Sufi And Bhakti Movement In India

ভক্তি ও সুফি আন্দোলন
ভক্তি ও সুফি আন্দোলন

মধ্যযুগীয় ভারতের ভক্তি ও সুফি আন্দোলন একটি সংমিশ্রিত সংস্কৃতি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যার উত্তরাধিকার আজও দেখা যায়। আজকে যে বিষয় গুলো আমরা জানবো - সুফিভক্তিবাদী আন্দোলন কি ও কাকে বলে, এই আন্দোলনের সাধক কারা ইত্যাদি।

ভারতে মুসলিম আক্রমণের সময় ইসলাম ধর্মের অধিক প্রচলন ঘটে। সেই সময় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে দ্বন্দু দেখা দেয়। এর ফলে দুটি জনপ্রিয় আন্দোলন ভারতে হয়- (১) সুফি আন্দোলন ও (২) ভক্তিবাদী আন্দোলন

:: সুফি আন্দোলন ::

ইসলামের মধ্যে থেকেই সুফিবাদের জন্ম। ভগবানকে পাওয়া যায় তাঁকে ভালোবেসে, প্রার্থনা করে, উপোস করে এবং আচার-অনুষ্ঠান পালন করে-এই ছিল সুফিদের মতবাদ। সুফিদের চারটি শাখা ছিল-চিস্তি সম্প্রদায়, নকসাবন্দী সম্প্রদায়, কোয়াদিরিয়া সম্প্রদায় ও সুহারাবর্দী সম্প্রদায়। এর মধ্যে চিস্তি সম্প্রদায়ের প্রভাব সারা ভারতে সর্বাধিক প্রসারিত হয়। সুফি দর্শনে 'পীর' বা গুরুর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরের সাথে আত্মার মিলনের জন্য শিষ্যকে পীর সঠিক পথ ও পদ্ধতির সন্ধান দেন। সুফিরা নির্জন স্থান বা 'দরগা'য় বসবাস করতেন।

সুফিরা দুই সম্প্রদায়ের ছিলেন। ইসলামের নিয়মকানুন যাঁরা মানতেন তাঁদের বলা হতো 'বা-সাহারা' এবং যাঁরা মানতেন না তাঁদের বলা হতো 'বে-সাহারা'। চিস্তি ও সুহারাবর্দীরা 'বা-সাহারা' ছিলেন এবং অপরদিকে কালান্দার সুফিরা ছিলেন 'বে-সাহারা'।

ভারতে দ্বাদশ শতাব্দীতে সুফি আন্দোলন জনপ্রিয়তা লাভ করে। চিস্তি সম্প্রদায়ের খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তি (১১৪১-১২৩৫ খ্রি.) ভারতে সুফিবাদের প্রচলন ঘটান। তিনি আফগানিস্থান থেকে ১১৯২ খ্রি. ভারতে আসেন এবং ১১৯৫ সাল থেকে আজীবন রাজস্থানের আজমীরে বসবাস করেন। অন্যান্য সুফি সন্তরা হলেন-কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি (১২৩৬ খ্রি. দিল্লিতে), হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া (১৩৩৫ খ্রি. দিল্লিতে। তাঁর জীবতকালে দিল্লিতে সাতজন সুলতান অধিষ্ঠিত হয়েছেন) এবং ফরিদুদ্দিন গঞ্জ-ই শক্কর (১২৬৫ খ্রি. পাকিস্তানে)।

চিস্তি সম্প্রদায়ের সুফিসন্ত নিজামউদ্দিন আউলিয়াকে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই শ্রদ্ধা করতো। সুহারাবর্দী সম্প্রদায়ের সুফিরা বাংলায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। চিস্তি সম্প্রদায়ের সন্তরা নির্জন স্থানে থেকে খাল্কা স্থাপন করে গভীর সাধনার পক্ষপাতী ছিলেন। তাঁদের জীবনযাত্রা ছিল কঠোর সংযমপূর্ণ। সংগীত, নৃত্য ও যোগসাধনার মাধ্যমে এঁরা বাণী প্রচার করতেন। এঁদের ভক্তিসঙ্গীত 'সমা' খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সুহারাবর্দী সম্প্রদায়ের সন্তরা কৃচ্ছসাধন করার বিরোধী ছিলেন। এঁরা ধর্ম সংক্রান্ত বা বিচারবিভাগীয় উচ্চপদে যুক্ত থেকে ধর্মচর্চা করতেন।

:: ভক্তিবাদী আন্দোলন ::

মানুষ ও ভগবানের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। প্রেম ও পূজার দ্বারা ভগবানকে পাওয়া যায়। আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার তথা ভক্তের সাথে ভগবানের রহস্যময় বা অতীন্দ্রিয় মিলন ভক্তিবাদের মূলকথা। ভক্তিবাদী সাধকেরা প্রথাগতভাবে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। ভক্তিবাদীরা কোনো আচার-অনুষ্ঠান পালন করতেন না। কৃষ্ণ, শিব, রাম, আল্লাহ সকলেই ভক্তিবাদীদের হৃদয়মন্দিরে একাকার হয়ে বিরাজ করতো। তাঁদের মতে ঈশ্বর এক এবং অভিন্ন। এঁরা মূর্তিপূজার বিরোধিতা করেছেন। দ্বাদশ শতাব্দীতে সুফি আন্দোলনের সময় ভারতে হিন্দুদের ভক্তিবাদী আন্দোলনও জনপ্রিয়তা লাভ করে।

ভারতে ভক্তি আন্দোলন প্রথম শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে। পরবর্তীতে উত্তর ভারতে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ ভারতে এই ভক্তি আন্দোলনের মূল দেবতা ছিল শিব, বিষ্ণু এবং তাঁদের অবতার। উত্তর ভারতে এই আন্দোলনের দেবতা ছিল রাম ও কৃষ্ণ। এঁদের দুজনকে বিষ্ণুর অবতার বলেও বিশ্বাস করা হতো। ভক্তি আন্দোলন যুগের সাথে সাথে এক একজন ভগবানকে সর্বেসর্বা হিসেবে পরিগণিত করেছে।

•ভারতে চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত ভক্তি আন্দোলনের জোয়ার বয়ে যায়। দ্বাদশ শতকে ভক্তি আন্দোলনের নেতা বাসব ভগবান হিসেবে শিবকে সর্বাধিক গুরুত্বসহকারে আরাধনা করেন।

•পঞ্চদশ শতকে রামানন্দ ভক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তাঁর ধারণায় ভগবান রামচন্দ্র ছিলেন সর্বেসর্বা। তিনি বারাণসীতে ধর্মীয় মত প্রচারের জন্য আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।

::: ভক্ত কবীর (১৪৪০-১৫১৮ খ্রি.) ::

ভক্তি আন্দোলন প্রচারের প্রধান ছিলেন। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় যে একই আদর্শে অনুপ্রাণিত তা প্রমাণ করেন। তাঁর মতবাদ তিনি হিন্দি ভাষায় 'দোহা' যা কাব্যিক ছন্দের মাধ্যমে প্রচার করেন। তিনি বলেন 'পাথরের মূর্তির মধ্যেই যদি ঈশ্বরের অধিষ্ঠান, তাহলে আমি সুবিশাল পর্বতকেই দেবতা হিসেবে পূজা করার পক্ষপাতী'।

•সপ্তদশ শতকে বাংলায় (হালিশহরে) রামপ্রসাদ সেন (জন্ম: ১৭১৮-১৭৭৫ খ্রি.) শ্যামাসঙ্গীত রচনা করেন যা ভক্তি আন্দোলনের এক অঙ্গ।

•দক্ষিণের ভক্তিধর্মের নারী সাধিকা ছিলেন 'অন্ডাল'। তাঁকে 'দক্ষিণের মীরাবাঈ' নামে অভিহিত করা হয়।

•বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলনের মূল দেবতা ছিলেন বিষ্ণু এবং তাঁর অবতার কৃষ্ণ। এই আন্দোলনের বিখ্যাত ব্যক্তিরা হলেন-রামানুজাচার্য (১০১৭-১১৩৭), মাধবাচার্য (১১৯৯-১২৭৮), নিম্বার্কাচার্য (ত্রয়োদশ শতাব্দী), বল্লভাচার্য (১৪৭৯-১৫৩১), শ্রীমন্ত শঙ্করদেব (১৪৪৯-১৫৬৮), চৈতন্য মহাপ্রভু (১৪৮৬-১৫৩৪) এবং স্বামীনারায়ণ (১৭৮১-১৮৩০)।


আশাকরি উপরের দেওয়া ভারতের সুফি ও ভক্তিবাদী আন্দোলন তথ্যটি পড়ে নিয়েছো। একনজরে দেখে নিলাম সুফি ও ভক্তিবাদী আন্দোলন সময়কালে উল্লেখযোগ্য দিকগুলো। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

Monday, March 25, 2024

March 25, 2024

নোবেল পুরস্কার সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়| Fact About The Nobel Prize

নোবেল পুরস্কার
Nobel Prize

আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় নোবেল পুরস্কার সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয়। অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে ছয় দিনব্যাপী সারা বিশ্বের ছয়জন পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা শুরু হয়। নোবেল পুরস্কার সমন্ধে যে বিষয় গুলো আজকে আমরা জানবো - নোবেল পুরস্কার কে প্রতিষ্ঠা করেন, কোন সালে চালু হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কোন দিন দেওয়া হয় ইত্যাদি। 

•প্রতিষ্ঠাতা:-

আলফ্রেড বার্নাড নোবেল (২১.১০.১৮৩৩-১০.১২.১৮৯৬) ছিলেন সুইডেনের (স্টকহোম) একজন কেমিস্ট, ইঞ্জিনিয়ার, আবিষ্কারক, ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক। বিস্ফোরক পদার্থ ডিনামাইট আবিষ্কারের ফলে যে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন সেই সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশ তিনি উইল করে যান এবং নির্দেশ দেন প্রতিবছর এমন পাঁচজনকে (অর্থনীতি বাদে) পুরস্কৃত করা হবে, যাঁরা 'পুরস্কারের আগের এক বছর মানবসভ্যতায় সর্বোচ্চমানের অবদান রাখবেন'।

•যে সালে চালু হয়:-

১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর। (ইটালিতে (সানরেমো) আলফ্রেড নোবেল প্রয়াত হন ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর। আলফ্রেড নোবেল-এর পঞ্চম মৃত্যুদিবস থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা শুরু হয়)। শারীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোমে প্রদান করা হয় এবং শান্তিতে অসলোর ক্রিস্টিয়ানিয়াতে প্রদান করা হয়। আলফ্রেড নোবেল অর্থনীতিতে পুরস্কার চালু করেন নি। ১৯৬৮ সালে সুইডেনের সেরিজেস ব্যাঙ্ক (সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক) তাদের ৩০০ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে নোবেলের স্মৃতিতে এই পুরস্কারের জন্য অনুদান দেন। সেই অনুদানের অর্থ থেকেই ১৯৬৯ সাল থেকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের নাম হয় সেরিজেস রিস্কব্যাঙ্ক প্রাইজ ইন ইকোনমিক্স সাইন্সেস ইন মেমোরি অফ আলফ্রেড নোবেল।

• যে যে ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ছয়টি ক্ষেত্রে:-

1. শারীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞান

2. পদার্থবিদ্যা

3. রসায়ন

4. সাহিত্য

5. শান্তি

6. অর্থনীতি বা সামাজিক বিজ্ঞান (চালু হয় 1968 সালে এবং প্রদান করা হয় 1969 সালে।)

•যে দিনে পুরস্কৃত করা হয়:-

10 ডিসেম্বর। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিনে

•যে যে সংস্থা নোবেল পুরস্কার প্রদান করে:-

দ্য রয়‍্যাল সুইডিশ আকাডেমি অব সায়েন্সেস- পদার্থবিদ্যা এবং রসায়ন বিভাগে। 

দ্য নোবেল অ্যাসেম্বলি অব ক্যারোলিনস্কা ইন্সটিটিউট- চিকিৎসাবিজ্ঞান বিভাগে। 

দ্য সুইডিশ অ্যাকাডেমি-সাহিত্য বিভাগে।

দ্য কমিটি অব দ্য নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট- শান্তি বিভাগে।

দ্য সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব সুইডেন-অর্থনীতি বিভাগে।

•নোবেল পুরস্কারের মূল্য:-

7 মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার।

•একটি বিষয়ে সর্বাধিক যত জন নোবেল পেতে পারেন:-

সর্বাধিক তিনজন যুগ্মভাবে একই বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন।

•দুবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন:-

মাদাম মেরি কুরি (একমাত্র মহিলা, পদার্থবিদ্যায় 1903 এবং রসায়নবিদ্যায় 1911/ফ্রান্স), ড. লিনিয়াস কার্ল পাওলিং (রসায়নবিদ্যায় 1954/এবং শান্তিতে 1962/আমেরিকা), জন বার্ডিন (পদার্থবিদ্যায় 1956 এবং 1972) এবং ফ্রেডরিক স্যাঙ্গার (রসায়নবিদ্যায় 1958 এবং 1980 সালে)।

•সর্বপ্রথম নোবেল প্রাপক:-

উইলিয়াম রন্টজেন (১৯০১ খ্রি., এক্স রশ্মির আবিষ্কর্তা, জার্মানি)।

•প্রথম মহিলা প্রাপক:-

মাদাম মেরি কুরি (পদার্থবিদ্যা 1903, ফ্রান্স)।

•বয়ষ্কতম প্রাপক:-

জন বি গুডএনাফ (৯৭ বছর বয়সে, রসায়নবিজ্ঞানে, ২০১৯ খ্রি.)

•সর্বকনিষ্ঠ প্রাপক:-

ইউসুফজাই মালালা (১৭ বছর বয়সে, শান্তিতে ২০১৪ সালে, পাকিস্তান)। এর আগের জন ছিলেন ইংল্যান্ডের লরেন্স ব্র্যাগ, ২৫ বছর বয়সে, পদার্থবিদ্যায়, ১৯১৫ খ্রি.।

•তিনবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন:-

দ্য ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রশ (নোবেল শান্তি পুরস্কার-1917, 1944, 1963)

•প্রথম দম্পতি যারা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন:-

একসাথে মাদাম মেরি কুরি ও পিয়ের কুরি (পদার্থবিদ্যা, 1903 খ্রি., ফ্রান্স)। 1935 সালে পিয়ের কুরি ও মাদাম কুরির মেয়ে আইরিন জোলিও কুরি রসায়নে নোবেল পান এবং তাঁর স্বামী হেনরি ল্যাবোইসের শান্তিতে নোবেল পান ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে।

•মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন:-

প্রথমজন এরিক অ্যাক্সেল কার্লফেল্ডট (সুইডেন, ১৯৩১ খ্রি., সাহিত্যে)। দ্বিতীয়জন ড্যাগ হ্যামারশোল্ড (শান্তি, ১৯৬১ খ্রি.)। ১৯৭৪ সালের এক সংশোধনীতে উল্লেখ করা হয় যে নোবেল কেবলমাত্র জীবিত ব্যক্তিকেই প্রদান করা হবে। যদি কোনো প্রাপক পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার পর মারা যান তবেই তাঁকে মরণোত্তর নোবেল দেওয়া হবে।

•নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন:-

প্রথমজন ফরাসি সাহিত্যিক জঁ পল সাত্র, ১৯৬৪ খ্রি. সাহিত্যে এবং দ্বিতীয়জন লে ডাক থো যিনি যুগ্মভাবে হেনরি কিসিংজারের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে শান্তিতে এই পুরস্কার পান। ডাক থো ভিয়েতনামের তৎকালীন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন। আজ পর্যন্ত দুজন সাহিত্যিক নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৫৮ সালে রুশ সাহিত্যিক বরিস প্যস্তেরনাক। তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেন, কিন্তু সোভিয়েত প্রশাসন তাঁকে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করেন। ১৯৬৪ সালে আর এক ফরাসি সাহিত্যিক জঁ পল সাত্র এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন।

আশাকরি উপরের দেওয়া নোবেল পুরস্কার সম্পর্কে জ্ঞাতব্য বিষয় গুলো পড়ে নিয়েছো। একনজরে দেখে নিলাম নোবেল পুরস্কারের সম্পূর্ণ বিষয়। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

Sunday, March 24, 2024

March 24, 2024

ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী ||

ভারতের প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী || 

 আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী। প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান এবং মন্ত্রী পরিষদের নেতা। যে রাজনৈতিক দলটি একটি সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয় এবং তাদের মধ্যে একজন প্রার্থীকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করার পর তিনি রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন। জওহরলাল নেহরু ছিলেন ভারতের প্রথম এবং সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী। এরপর ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন ভারতের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদটি শুরু হয় বা প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন 1947 সালে। 2024 সালে (বর্তমানে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে রাষ্ট্রপতি দেশের (নামসর্বস্ব শাসক) সাংবিধানিক প্রধান হলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় সর্বময় কর্তৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতেই ন্যস্ত থাকে। বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর সময়ে ভারতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী ঘটেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলো নীচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো -


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pinterest.com

• জওহরলাল নেহরু (1947-64)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

প্রথম ভারত-পাক যুদ্ধ (1948), প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সূচনা (1951), দিল্লিতে প্রথম এশিয়ান গেমস্-এর সূচনা (1951), প্রথম জনগণনা (1951), ভারত-চিন পঞ্চশীল চুক্তি, পোর্তুগিজ কবল থেকে গোয়ার মুক্তি, ভারতের রাজস্থানে প্রথম পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন (1959), চিনের ভারত আক্রমণ (1962) ফলে প্রথমবার দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by peakpx.com

•লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (1964-66)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভারত-পাক যুদ্ধ (1965), ভারত-পাক তাসখন্দ চুক্তি (1966)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pinterest.com

•ইন্দিরা গান্ধি (1966-77)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

সরকারি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ (1969), ভারত-পাক যুদ্ধ ও বাংলাদেশের সৃষ্টি (1971) এবং জাতী জরুরি অবস্থা ঘোষণা, ভারত-পাক সিমলা চুক্তি (1972), পোখরানে পরমাণু। বোমার পরীক্ষামূলৎ বিস্ফোরণ (1974), আর্যভট্ট মহাকাশে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের মহাকার অভিযানের কালা (1975), গরিবী হটাও স্লোগান, দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা (1975)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by wikipedia.org

• মোরারজি দেশাই (1977-79)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

রোলিং প্ল্যান-এর সৃষ্টি (1978-80), প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর গঠন (1977)।


• ইন্দিরা গান্ধি (1980-84)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

কালপক্কম-এ প্রথম আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গঠিত (1983), কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের প্রথম একদিবসীয় বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয় (1983), রাকেশ শর্মার মহাকাশ যাত্রা (1984), প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে বাচেন্দ্রী পালের এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় (1984), ভূপালের গ্যাস দুর্ঘটনা (1984)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

• রাজীব গান্ধি (1984-89)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

দলত্যাগ বিরোধী বিল পাস, সরকারি কাজে সপ্তাহে 5 দিন কর্মদিবস এবং শনি ও রবিবার ছুটি হিসেবে ঘোষণা (1985), পাঞ্জাব চুক্তি (সরকার-অকালি দল, 1985), ৬১তম সংবিধানসংশোধনীর মাধ্যমে ভোটাধিকারের বয়সসীমা ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয় (1989)


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

• বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং (1989-90)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

মণ্ডল কমিশনের রূপায়ণ (1990)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

• চন্দ্রশেখর (1990-91)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

রাজীব গান্ধি আততায়ীর বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন (1991)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by wikipedia.org

• পি ভি নরসিমা রাও (1991-96)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভারতে অর্থনৈতিক উদারীকরণের জনক (1991), বাবরি মসজিদ ধুলিসাৎ (1992), সরকারি চাকরিতে ওবিসি-দের সংরক্ষণ চালু (1993), পঞ্চায়েতি রাজ সারাদেশে চালু (1994)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

• এইচ ডি দেবগৌড়া (1996-97)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভারত-বাংলাদেশ জল চুক্তি স্বাক্ষরিত (1996)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

•অটলবিহারী বাজপেয়ী (1998-2004)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভারত-পাক কার্গিল যুদ্ধ (1999), দিল্লি-লাহোর বাস পরিষেবা চালু (1999), সংসদে জঙ্গি হানা (2001), স্বর্ণ চতুর্ভুজ সড়ক প্রকল্প, কল্পনা চাওলার মহাকাশ থেকে ফেরার পথে মৃত্যু (2003)।


ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by pmindia.gov.in

• ড. মনমোহন সিং (2004-2009)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভয়ঙ্কর সুনামি ঝড় (2004), ভারত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী (2007),ভারত-আমেরিকা অসামরিক পরমাণু চুক্তি (2008)।

• ড. মনমোহন সিং (2009-2014)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন, টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি, কয়লার ব্লক বণ্টন বেনিয়ম, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারী, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ।



ভারতের প্রধানমন্ত্রী
Image source by wallpapers.com

• নরেন্দ্র মোদী (2014-বর্তমান)

∆উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী::

ভারতের যোজনা কমিশনের পরিবর্তে গঠিত হল নতুন সংস্থা 'নীতি আয়োগ' (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া), ২০১৫ সালের ২১ জুন পালিত হল 'আন্তর্জাতিক যোগ দিবস'। কালো টাকা বাতিল করতে ২০১৬ সালে নিয়ম করলেন ১০০০ টাকা ও ৫০০ নোটের বিমুদ্রাকরণ। বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল চুক্তি। ২০১৭ সালে কর ব্যবস্থা জিএসটি চালু হয়। ২০১৮ সালে তিন তালাক বিল পাশ। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বাতিল। ২০২০ সালে বিশ্বসহ ভারতে করোনা মহামারি হয়। ২৪ মার্চ রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনার জন্য সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। এছাড়া উত্তরভারতে পঙ্গপাল, অরুণাচল প্রদেশে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু ফিভার, উত্তরাখন্ডে দাবানল ইত্যাদি বিপর্যয় ঘটে। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত পুজো হয়।

আশাকরি উপরের দেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী তথ্যটি পড়ে নিয়েছো। একনজরে দেখে নিলাম ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে উল্লেখযোগ্য ঘটনা গুলো। এই ঘটনা গুলি ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের তথ্যটি ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সময়কালে রাজনৈতিক ঘটনা গুলি জানা। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

Saturday, March 23, 2024

March 23, 2024

বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টিপাত ও উদাহরণ || বৃষ্টিপাত কয় প্রকার ||

বৃষ্টিপাত
 বৃষ্টিপাত

বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টিপাত ও উদাহরণ || বৃষ্টিপাত কয় প্রকার ||

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টিপাত ও উদাহরণ সমন্ধে। জীবজগতে উদ্ভিদ ও প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য বৃষ্টিপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনো বেশী বৃষ্টির জন্য বন্যা দেখা যায় আবার কম বৃষ্টির কারণে খরার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। জল চক্র এবং পরিবেশের উপর বৃষ্টিপাতের প্রভাব বোঝার জন্য সঠিক বৃষ্টিপাত পরিমাপ প্রয়োজন। কোনো জায়গায় কতটা বৃষ্টিপাত হয়েছে তা বৃষ্টিপাত পরিমাপক (Rain Gauge) যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয় । 

অধঃক্ষেপণ বা বৃষ্টিপাত::

সূর্যের তাপে নদী, খাল, সাগর, মহাসাগর বা যেকোনো জলাধার থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে ওপরে উঠে যায়। বায়ুতে ভাসমান এই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণা বা মেঘের সৃষ্টি করে। ভাসমান এই মেঘ বা জলকণাসমূহ যখন পরস্পর মিলে বড় জলকণায় পরিণত হয় তখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে আর ভেসে থাকতে পারে না, ভূ-পৃষ্ঠে এসে পড়ে। এই ঘটনাকে বলে অধঃক্ষেপণ। এই অধঃক্ষেপণের বিভিন্ন রূপ-বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি। বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টিপাত ও উদাহরণ গুলো দেখে নেওয়া যাক। বৃষ্টিপাতের বিভিন্ন রূপ-

পরিচলন বৃষ্টি (Convectional): 

নিরক্ষীয় অঞ্চলে বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। দিনের বেলায় উষ্ণ ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে ঐ আর্দ্র জলীয় বাষ্প ওপরে উঠে যায় এবং ওপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে আর্দ্র বায়ুও শীতল হয়ে যায়। ওপরে চাপ কম থাকার ফলে ঐ বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয় এবং বৃষ্টিপাতরূপে ঐ স্থানেই নেমে আসে। একে পরিচলন বৃষ্টি বলে। 

উদাহরণ- নিরক্ষীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বিকেলের দিকে এরূপ বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গেও গ্রীষ্মকালে বিকেলের দিকে এইভাবে বৃষ্টিপাত হয়।

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি (Relief):

জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হলে, পর্বতের গা বেয়ে ওপরের দিকে ওঠে এবং প্রসারিত ও শীতল হয়। এর ফলে পর্বতের প্রতিবাত (Windward) ঢালে (যে ঢালে বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পায়) প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। একে বলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি। অপরদিকে অনুবাত (Leeward) ঢালে (বিপরীত ঢালে) বৃষ্টিপাত খুব কম হয়। বিপরীত পার্শ্বের স্বল্প-বৃষ্টিপাত অঞ্চলকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (Rain-shadow area) বলে।

উদাহরণ- আরব সাগরের তীরে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমঢালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রচুর শেলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয় কিন্তু পূর্বঢাল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল। এর ফলে দাক্ষিণাত্যের অভ্যন্তরে কম বৃষ্টিপাত হয়।

ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টি (Cyclonic):

ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালভাবে যদি উষ্ণ ও শীতল বায়ু পরস্পরের দিকে মুখোমুখি এগিয়ে এলে উভয় বায়ুর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শীতল বায়ুস্তর ভারী বলে সেই বায়ু নীচের দিকে চলে যায় এবং উষ্ণ বায়ুস্তর শীতল বায়ুস্তরের ওপর ঢাল বরাবর উপরে উঠে যায়। ওপরে চাপ কম থাকার জন্য উষ্ণ বায়ু ওপরে উঠে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডার সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। একেই বলে ঘূর্ণবাত-জনিত বৃষ্টি।

উদাহরণ- নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই ধরনের বৃষ্টিপাত বেশি হয়। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে পূর্ব ভারতে মাঝে মাঝে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা ক্রান্তীয় ঘর্ণবাতের জন্য প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়।

গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত (Drizzle): 

নিম্বো-স্ট্যাটাস মেঘ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়তনের জলকণা বিরামহীনভাবে ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে। একেই গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত বলে।

তুষারপাত (Snow fall): 

ঊর্দ্ধাকাশে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার সময় যদি সেখানকার বায়ুর উষ্ণতা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়, তাহলে ভাসমান জলকণসমূহ তুষারে পরিণত হয়ে ভূপৃষ্ঠে তুষারপাত হয়।

উদাহরণ- উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে বা শীতপ্রধান অঞ্চলে তুষারপাত বেশি হয়।

শিলাবৃষ্টি (Hail & Sleet):

উর্দ্ধাকাশে মেঘ বা বৃষ্টির জলকণাসমূহ অনেক উঁচুতে খুব শীতল স্থানে চলে গেলে সেখানকার প্রচন্ড শৈত্যে ঐ জলকণাসমূহ জমাট বেঁধে ছোট ছোট বরফে পরিণত হয়। ঐ বরফের টুকরোগুলি নীচে নামার সময় আরও জলকণা সংগ্রহ করে আয়তনে বেড়ে যায় এবং বৃষ্টির সাথে বিভিন্ন আকারের বরফকণা মাটিতে পড়ে। একে শিলাবৃষ্টি বলে।

অরণ্য অঞ্চলের বৃষ্টি:

অরণ্য অঞ্চলের বায়ু ঠান্ডা বলে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ঘণীভূত হয়ে সেই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটায়। একে অরণ্য বৃষ্টিপাত বলে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য::

কুয়াশা (Fog), শিশির (Dew), তুহিন (Frost) অধঃক্ষেপণ নয় কারণ এগুলি উর্দ্ধগামী বাষ্পীভূত জলকণা দ্বারা সৃষ্টি হয় না বা মাধ্যকর্ষণের টানে ভূ-পৃষ্ঠেও এসে পড়ে না।


শিশির:- ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর অতিরিক্ত শীতল হলে ভাসমান জলীয় বাষ্প ঘণীভূত হয়ে পাতা, ঘাস প্রভৃতির ওপর জলবিন্দুর আকারে সঞ্চিত হয়, একে বলে শিশির।


তুহিন:- শীতপ্রধান দেশে তীব্র ঠান্ডা পড়লে শিশির বিন্দুগুলি জমাট বেঁধে কঠিনে পরিণত হয়, তখন একে বলে তুহিন।


সমবর্ষণ রেখা (Isohyet) : ভূপৃষ্ঠের সমান বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলগুলি মানচিত্রে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় সেই রেখাকে সমবর্ষণরেখা বলে।


আশাকরি, উপরে দেওয়া বিভিন্ন প্রকার বৃষ্টিপাত ও উদাহরণ তথ্যটি পড়ে নিয়েছো। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো

Friday, March 22, 2024

March 22, 2024

Introduction To Different Gasses In Bengali | গ্যাসের পরিচয়

Introduction To Different Gasses
Introduction To Different Gasses

Introduction To Different Gasses

আজকের আলোচনা Introduction to different gases সমন্ধে । আমাদের বায়ুমণ্ডলে অনেক ধরনের গ্যাস রয়েছে। অনেক গ্যাস রয়েছে যে গুলো আমাদের পরিচিত, আবার অনেক গ্যাস সমন্ধে আমরা জানিনা। আজকে সেই সব গ্যাসের নাম ও তাদের ব্যবহার জানবো। পৃথিবীর মধ্যে এবং তার বাইরে অনেক ধরনের গ্যাস রয়েছে। কোন গ্যাস গুলো কোথায়, কি ভাবে, আমরা ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং দেরী না করে তাড়াতাড়ি দেখে নাও।

গ্যাসের পরিচয়::

তরল, কঠিন এবং প্লাজমা সহ পদার্থের চারটি প্রাকৃতিক অবস্থার মধ্যে একটি হল গ্যাস। একটি গ্যাসের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি বা আয়তন নেই। তাদের যে পাত্রে রাখা হয় তার আকৃতি ধরে নেয়। আদর্শ গ্যাস একটি অনুমানিক গ্যাস, যার মানে বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটি নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো অনেক গ্যাসের মিশ্রণ হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। কয়েকটি গ্যাসের পরিচয় নিচে দেওয়া হল-

Introduction To Different Gasses
Images Source by oxygen-plants.com 

• অক্সিজেন [Oxygen]:-

∆চিহ্ন: O। (অক্সিজেনের একটি পরমাণু বোঝায়)

∆সংকেত: O। (অক্সিজেনের একটি অণু বোঝায়। ∆অক্সিজেনের একটি অণু দুটি পরমাণু দ্বারা গঠিত)

∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: 20-90%

∆প্রস্তুতি: পটাশিয়াম ক্লোরেট ও ম্যাঙ্গানিজ ডাইঅক্সাইডের মিশ্রণ কম উষ্ণতায় অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।

∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: অক্সিজেন বর্ণহীন, স্বাদহীন এবং গন্ধহীন। বাতাসের চেয়ে সামান্য ভারী। জলে সামান্য প্রবীভূত হয়,শ্বাসকার্যে সাহায্য করে। রাসায়নিক ধর্ম: অক্সিজেন দহনে সাহায্য করে কিন্তু নিজে দাহ্য নয়। তিনটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে একটি ওজোন গ্যাসের অণু গঠিত হয়।

∆ব্যবহার: প্রাণিজগতের অস্তিত্বের মূলে এই গ্যাস। সমগ্র জীবিত প্রাণীর শ্বাসকার্য চলে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে।

Images Source by innovation

• হাইড্রোজেন [Hydrogen]:-

∆চিহ্ন: H

∆সংকেত: H₂

∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: খুবই সামান্য।

∆প্রস্তুতি: সাধারণ তাপমাত্রায় উলফ বোতলে জিঙ্কের ছিবড়া ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড বিক্রিয়া করে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।

∆ধর্ম ভৌত ধর্ম: বিশুদ্ধ হাইড্রোেেজন গ্যাস বর্ণহীন, স্বাদহীন ও গন্ধহীন। জলে প্রায় অদ্রাব্য। সবচেয়ে হালকা মৌল হাইড্রোজেন।

রাসায়নিক ধর্ম: হাইড্রোজেন গ্যাস নিজে দাহ্য কিন্তু দহনে সহায়তা করে না। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন গ্যাসের মিশ্রণকে অগ্নি সংযোগ করলে বিস্ফোরণ ঘটে।

∆ব্যবহার: পরীক্ষাগারে বিজারকরূপে, ঝালাইয়ের কাজে অক্সি-হাইড্রোজেন শিখা উৎপন্ন করতে ব্যবহৃত হয়।

Introduction To Different Gasses
Images Source by online-sciences.com

• কার্বন ডাই-অক্সাইড [Carbon dioxide]:-

∆সংকেত: CO₂ (দুটি অধাতুর মধ্যে যদি একটি কঠিন হয় তবে কঠিন মৌলের চিহ্নটি প্রথমে বসে। এখানে কার্বন কঠিন প্রথমে বসেছে, অক্সিজেন গ্যাস পরে বসেছে)।

∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: খুব সামান্য 0.03%।

∆প্রস্তুতি: সাধারণ তাপমাত্রায় মার্বেল পাথর (ক্যালসিয়াম কার্বনেট) ও লঘু হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া দ্বারা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। বাতাসের উর্ধ্ব-অপসারণ দ্বারা সংগ্রহ করা হয়।

∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: বর্ণহীন, গন্ধহীন, সামান্য অম্লস্বাদযুক্ত।জলে দ্রাব্য।

রাসায়নিক ধর্ম: কার্বন ডাই-অক্সাইড একটি আম্লিক অক্সাইড তাই জলে দ্রবীভূত হয়ে অ্যাসিড উৎপন্ন করে।

∆ব্যবহার: শুষ্ক বরফ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়।

•অ্যামোনিয়া [NH]:-

∆প্রস্তুতি: অ্যামোনিয়াম লবণের সঙ্গে ক্ষারক জাতীয় পদার্থ (যেমন: অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড ও কলিচুন) উত্তপ্ত করল অ্যামেনিয়া গ্যস উৎপন্ন হয়।

∆ধর্ম:এই গ্যাস বর্ণহীন, ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। জলে অত্যন্ত দ্রাব্য। এই গ্যাস ক্ষারধর্মী।

∆ব্যবহার: সার প্রস্তুতিতে এই গ্যাস প্রচুর ব্যবহার করা হয়।

•নাইট্রোজেন [Nitrogen]:-

∆চিহ্ন: N

∆সংকেত: N₂

∆প্রকৃতিতে পরিমাণ: 78%

∆প্রস্তুতি: তরল বায়ু থেকে পাতন প্রক্রিয়ায় এই গ্যাস সংগ্রহ করা যায়। 

∆ধর্ম: স্বাদহীন, বর্ণহীন, গন্ধহীন, অধাতব গ্যাস।

∆ব্যবহার: অ্যামোনিয়া সার, নাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুত করতে, তরল নাইট্রোজেন ফ্রিজে ব্যবহৃত হয়।

•হাইড্রোজেন সালফাইড [Hydrogen Sulphide]:-

∆সংকেত: H₂S

∆প্রস্তুতি: ফেরাস সালফাইড ও লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।

∆ধর্ম: ভৌত ধর্ম: কর্ণহীন, পচা ডিমের মত গন্ধবিশিষ্ট গ্যাস, বাতাসের চেয়ে ভারী, ঠাণ্ডা জলে দ্রাব্য কিন্তু গরম জলে অদ্রাব্য, বিষাক্ত গ্যাস।

রাসায়নিক ধর্ম: এর জলীয় দ্রবণ অ্যাসিড উৎপন্ন করে। এই গ্যাসের প্রভাবে চোখ, নাক, গলা জ্বালা করে, মাথা ধরা, ঝিমুনি ভাবের সৃষ্টি হয়। কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়।বাতাসে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের উপস্থিতিতে সাদা লেড অক্সাইড কালো লেড সালফাইডে পরিণত হয়ে তৈলচিত্রটিকে কালো করে দেয়।


ধন্যবাদ সকলকে, আশাকরি উপরের দেওয়া Introduction to different gasses তথ্যটি পড়ে নিয়েছো। বায়ুমন্ডলে কত ধরনের গ্যাস রয়েছে এবং সেই গ্যাসগুলো সমন্ধে আজকে আমরা জানলাম। বায়ুমণ্ডলে থাকা গাসগুলোর উপস্থিতির কারণে আমাদের জীবন ধারণকরা সম্ভব হয়েছে। পড়াশোনার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো। আজকের তথ্য গুলো তোমাদের কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো।

Wednesday, April 12, 2023

April 12, 2023

GK Practice Set || Mock Test :: 2

:: GK Practice Set :

GK Practice Set || Mock Test :: 2



 নমস্কার সবাইকে, আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছো। তোমাদের সাথে GK Practice Set Mock Test 2 শেয়ার করলাম। তোমাদের কত স্কোর হল আমাদের কমেন্ট করে জানাও। 


Q1.'পার্লামেন্ট সংবিধানের মৌলকাঠামো ছাড়া অন্য সব অংশ সংশোধন করতে পারে'- সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছিল—
A.মিনার্ভা মিলস মামলায়
B.বন্দী প্রত্যক্ষীকরণ মামলায়
C.কেশবানন্দ ভারতী মামলায়
D.গোলকনাথ মামলায়


Q2.ভারতের প্রাচীনতম নীতিগল্প হল-
A.যবনেশ্বর
B.পঞ্চতন্ত্র
C.পঞ্চটীকা সায়র
D.ঈশ্বরের নীতিকথা


Q3.2022-2024 সাল পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশন অফ এশিয়ান ইলেকট্রন অথরিটিদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পালন করবে কোন দেশ?
A.ভারত
B.নেপাল
C.ভুটান
D.পাকিস্তান


Q4.অহিমস বিশ্ব ভারতী সংস্থার তরফ থেকে কোথায় ভারতের প্রথম “ওয়ার্ল্ড পিস সেন্টার' স্থাপন করা হল?
A.মীনাগাঁও
B.গাজিয়াবাদ
C.মুম্বাই
D.গুরুগ্রাম


Q5.ভারতে প্রথম সবুজ বিপ্লব ঘটে—
A.গুজরাটে
B.রাজস্থানে
C.উত্তরপ্রদেশে
D.পাঞ্জাবে


Q6.জাতীয় জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত ঘোষণাকে কতদিনের মধ্যে ভারতীয় সংসদে অনুমোদিত হতে হয়?
A.১ মাসের মধ্যে
B.৬ মাসের মধ্যে
C.৪ মাসের মধ্যে
D.২ মাসের মধ্যে


Q7.কোন ভারতীয় শহর ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করল?
A.হরিদ্বার
B.পুণে
C.মুম্বাই
D.গুরুগ্রাম


Q8.হীরক চতুর্ভুজ পরিকল্পনাটি কোন পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত?
A.রজ্জু পথ
B.রেলপথ
C.বিমানপথ
D.সড়ক পথ


Q9.জীবাণু দ্বারা বর্জ্যের বিয়োজন হল—
A.কপাউত্তি
B.ওফারফিলিং
C.কম্পোস্টিং
D.ল্যান্ডফিলিং


Q10.ভারতের জাতীয় সংগীত- প্রথমবার গাওয়া হয়-
A.1911 সালে
B.1947 সালে
C.1901 সালে
D.1890 সালে


Q11.‘ট্রেন টু পাকিস্তান' গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
A.হরি সিং
B.কুনওয়ার সিং
C.মুস্করাজ আনন্দ
D.খুশবন্ত সিং


Q12.এল নিনোর প্রভাব দেখা যায়-
A.সুমেরু মহাসাগরে
B.ভারত মহাসাগরে
C.আটলান্টিক মহাসাগরে
D.প্রশান্ত মহাসাগরে


Q13.কোন হরমোন প্রয়োগ করে জিনগত বামনত্ব দূর করা হয় ?
A.সাইটোকাইনিন
B.জিব্বেরেলিন
C.ভারনালিন
D.অক্সিন


Q14.রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে বিনয়-বাদল-দীনেশ হত্যা করেন—
A.ইন্সপেক্টর জেনারেল লোম্যানকে
B.পুলিশ সুপার হাডসনকে
C.কর্নেল কিংসফোর্ডকে
D.কর্নেল সিম্পসনকে


Q15.কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হাইকোর্ট স্থাপন করতে কিংবা কোনো একটি অধস্তন আদালতকে হাইকোর্টের মর্যাদায় উন্নীত করতে পারে-
A.পার্লামেন্ট
B.রাষ্ট্রপতি
C.রাজ্যসভা
D.লোকসভা


Q16.একটি নিরেট ধাতব বলের মধ্যে একটি গোলাকার গর্ত আছে।বলটিকে গরম করলে গর্তের আয়তন-
A.কমবে
B.বাড়বে
C.একই থাকবে
D.প্রথমে বাড়বে তারপর কমবে


Q17.পরিবেশে নাইট্রাস অক্সাইডের উপস্থিতির প্রধান উৎস হল-
A.নাইট্রিফিকেশন
B.অ্যামোনিফিকেশন
C.ডিঅ্যামোনিফিকেশন
D.ডিনাইট্রিফিকেশন


Q18.'ভার্নাকুলার লিটারেচার সোসাইটি' প্রতিষ্ঠিত হয়-
A.1850 খ্রিস্টাব্দে
B.1820 খ্রিস্টাব্দে
C.1812 খ্রিস্টাব্দে
D.1800 খ্রিস্টাব্দে


Q19.'হুতোম প্যাঁচার নক্শা'-র প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়—
A.১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে
B.১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে
C.১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে
D.১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে


Q20.মদনমোহন মালব্যের উদ্যোগে 'যুক্তপ্রদেশ কিষানসভা' গড়ে ওঠে-
A.১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
B.১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে
C.১৯২২ খ্রিস্টাব্দে
D.১৯১১ খ্রিস্টাব্দে


Q21.ভূপৃষ্ঠে স্বাভাবিক বায়ুর চাপ ____ সেমি পারদস্তম্ভের সঙ্গে সমান।
A.৭৫
B.৭৬
C.৭৯
D.৭৮


Q22.তরল যোগকলার উদাহরণ হল-
A.অ্যারিওলার কলা
B.পীততন্তুময় কলা
C.রক্ত
D.তরুণাস্থি কলা


Q23.সেন্ট্রাল রাইস রিসার্চ ইন্সটিটিউশন কোথায় অবস্থিত?
A.দেরাদুন
B.বেঙ্গালুরু
C.কটক
D.চেন্নাই


Q24.'মানুষ' হল একটি-
A.বিদেশি শব্দ
B.মিশ্র শব্দ
C.তৎসম শব্দ
D.তদ্ভব শব্দ


Q25.উত্তর গোলার্ধে সূর্যকে বড়ো দেখায়—
A.বসন্তকালে
B.শরৎকালে
C.গ্রীষ্মকালে
D.শীতকালে


Q26.'ব্লু ওয়াটার পলিসি'-র সঙ্গে সংযুক্ত কে?
A.রবার্ট ক্লাইভ
B.ডি আলমিডা
C.ডুপ্লেক্স
D.আলবুকার্ক


Q27.প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশের কাথেরি গ্রামে কোন এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন?
A.রাজধানী এক্সপ্রেসওয়ে
B.বাঘেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে
C.সারদা এক্সপ্রেসওয়ে
D.বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে


Q28.আইন অমান্য আন্দোলন কালে ধরসানা লবণ- গোলা অভিধানের নেতৃত্ব দেন–
A.দুর্গাবাঈ দেশমুখ
B.বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত
C.সরোজিনী নাইডু 
D.কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়


Q29.' ভারতসভার ' প্রথম সভাপতি ছিলেন-
A.শিশিরকুমার ঘোষ
B.কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
C.সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
D.আনন্দমোহন বসু


Q30.পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের জন্য দায়ী —
A.পজিট্রন
B.নিউট্রন
C.ইলেকট্রন
D.প্রোটন



উত্তর::
1.কেশবানন্দ ভারতী মামলায়✓
2.পঞ্চতন্ত্র✓
3.ভারত✓
4.গুরুগ্রাম✓
5.পাঞ্জাবে✓
6.১ মাসের মধ্যে✓
7.মুম্বাই✓
8.রেলপথ✓
9.কম্পোস্টিং✓
10.1911 সালে✓
11.খুশবন্ত সিং✓
12.প্রশান্ত মহাসাগরে✓
13.জিব্বেরেলিন✓
14.কর্নেল সিম্পসনকে✓
15.পার্লামেন্ট✓
16.বাড়বে✓
17.ডিনাইট্রিফিকেশন✓
18.1850 খ্রিস্টাব্দে✓
19.১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে✓
20.১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে✓
21.৭৬✓
22.রক্ত✓
23.কটক✓
24.তদ্ভব শব্দ✓
25.শীতকালে✓
26.ডি আলমিডা✓
27.বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে✓
28.সরোজিনী নাইডু✓
29.কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়✓
30.ইলেকট্রন✓



ধন্যবাদ সকলকে। আশাকরছি উপরের প্রশ্ন উত্তর গুলো সব পড়ে নিয়েছো। GK Practice Set Mock Test 2 ভালো লাগলে তোমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। কোনো প্রশ্ন উত্তর ভুল থাকলে আমাদের কমেন্ট করে জানিও। সমস্ত পরীক্ষার জন্য নিজেকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করো।